Your Cart
:
Qty:
Qty:
কাউন ছিলো গরীবের খাবার।
এক সময় প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ফক্সটেইল মিলেট বা কাউনের চাষ হতো। কাউন চালের ভাত এবং জাউ বেশ জনপ্রিয় ছিল। চৈত্র বৈশাখ মাসে ক্ষেতে ক্ষেতে কাউনের ছড়া দুলতো। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ইরি,বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়। এরপর থেকে ক্রমেই কমতে থাকে কাউন চাষ। ইরি বোরো চাষ যত বিস্তার লাভ করে কাউনের চালের চাহিদাও পড়তে থাকে। কৃষকেরা ততই কাউন চাষ কমিয়ে দেয়। গরিবদের খাবার কাউন এখন উচ্চ দামে বিকআশার কথা হলো কাউন চাষে আবার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ এখানে খরচ কম লাভ বেশি। প্রায় সব ধরণের মাটিতেই কাউনের চাষ করা যায়। কাউন চাষে সার,বি*ষ প্রয়োগ করা লাগে না। বাজারে কাউন সহজলভ্য হলে অগণিত মানুষ অপুষ্টি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অবেসিটি, অভারওয়েট, ক্যান্সার ইত্যাদি ভয়াবহ সমস্যা থেকে প্রতিকার পজোয়ার, বাজরা, রাগি, শ্যামাচাল, কাউন, চিনা, ঢেমসি ইত্যাদি দানাশস্যকে মিলেট বলা হয়। প্রতিকূল ও শুষ্ক পরিবেশে এই ফসল আবাদ হতে পারে! অল্প বৃষ্টিপাতে অনুর্বর মাটিতেও মিলেটের ফলন ভাল হয়! তাই একে বলা হয় 'অলৌকিক শস্য' বা 'মিরাকল মিলেট'। অতএব সঙ্গত কারণেই এই ফসলের উৎপাদন রাসায়নিক সার, কীটনাশকের উপর নির্ভরশীল নগম ও ধানের চেয়ে মিলেট প্রায় ৩-৫ গুণ বেশি পুষ্টিকর। অনুমান করা হয় প্রাগৈতিহাসিক যুগে ধানের চেয়ে মিলেট চাষই বেশি হতো। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ১৬ রকমের মিলেট চাষ হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- সরগাম (জোয়ার), পার্ল মিলেট (বাজরা), ফিংগার মিলেট (রাগি), বার্নইয়ার্ড মিলেট (শ্যামা চাল), ফক্সটেল মিলেট (কাউন), বাকহুইট (কুট্টু), লিটল মিলেট (কুটকি), প্রোসো মিলেট (চীনা), কোডো মিলেট (কোড়ো), অ্যামারান্থাস (চৌলাই), ব্রাউনটপ মিলেট ইত্যাদি। গুজরাট, রাজস্থান সহ ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বিভিন্ন মিলেট থেকে তৈরি নানারকম খাবার বেশি খাওযএদেশে অতিথি আপ্যায়নে, উৎসব-পার্বণে কাউনের পায়েশের বেশ প্রচলন আছে। ধানের চালের মতই কাউনের চাল দিয়ে পোলাও, বিরিয়ানী, ভাত, জাউ, খিচুরি, পায়েস ইত্যাদি করা যায়। আর গমের আটার মতই কাউনের আটা দিয়ে রুটি, পরোটা, বেকারিজ, বিস্কুট ইত্যাদি সবই হয়। এই খাবারগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাউন চালের ভাত খেতে খুব সুস্বাদু। এই ভাত সবজি সিদ্ধ দিয়ে খেলে খুব তৃপ্তি পাওযফক্সটেইল মিলেট বা কাউন সহজে হজমযোগ্য সুপারফুড। কাউনের চালে পর্যাপ্ত পরিমাণ মিনারেলস থাকায় নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষভাবে উপকারি খাদ্য। কাউনে ক্যালসিয়াম, জিংক, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে। গর্ভবর্তী মহিলাদের শরীরে আয়রনের অভাব দেখা যায়। কাউন এই আয়রনের অভাব দূর করতে পারে। শারীরিক সৌন্দর্য ও ওজন ঠিক রাখার জন্য ফক্সটেইল মিলেট বা কাউন রোজকার ডায়েটে রাখা যায়।